নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: সন্ত্রাসী শেখ জাকারিয়া ও মিল্টনসহ খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী ইস্টার্নগেট এলাকায় ট্রিপল মার্ডার মামলার অন্য আসামিদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন মশিয়ালী এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ১৮ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রধান দুই আসামি শেখ জাকারিয়া ও মিল্টন এবং জাফরীন, কবির, জিহাদ, জাহাঙ্গীর, মিঠু পারভেজ, আলমগীর মোরাদসহ অন্য আসামিদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) আসরবাদ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবেন বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতদের পরিবারের পক্ষে মাসুম বিল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন শেখ আবিদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, সরদার আ. হামিদ, শিরিনা বেগম, তরিকুল ইসলাম, এস এম বকতিয়ার পারভেজ, রবিউল ইসলাম, রেজোয়ান আকুঞ্জি রাজা, মাসুম বিল্লাহ, আমিরুল ইসলাম, কেসমত আলী, শাহিদুল, মুজিবার রহমান, মিটুল, সাজ্জাদ, আ. সালাম গাজী, বাবলু ইউসুপ গাজী, তবিবুর রহমান ও সাবিনা প্রমুখ।
এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মশিয়ালী এলাকাবাসী। এর আগে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে খানজাহান আলী থানার তিন সন্ত্রাসী সহোদর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি জাফরিন ও মিলটনের বাহিনীসহ আরো ১০/১২ জন স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে মশিয়ালী এলাকার মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ২টার দিকে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটনের বসত-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন এবং তাদের বাহিনীর জিহাদ শেখকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।
হত্যাকাণ্ডের মূল খলনায়ক শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনসহ ১২ আসামি এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে এখনো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সান নিউজ/ এআর