নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশালে শিশু গৃহকর্মী আশাকে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্ত্রী পরিবারের চাপে নির্যাতিতের স্বজনেরা রাজি না হলেও মামলা করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আল আমিন বাদী হয়ে নির্যাতনকারী বুলবুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা বিশ্বাসকে উদ্ধার অভিযানের তথ্য টের পেয়ে নির্যাতনকারী বুলবুল বিশ্বাস পালিয়ে যান। যেহেতু মামলা হয়েছে, আমরা আসামি ধরতে চেষ্টা করছি। আশা করি, দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হবো।’
ওদিকে শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগ অসত্য নয় বলে জানিয়েছেন বুলবুল বিশ্বাসের বড় বোন বকুল বিশ্বাস। তিনি বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তার বাসায় সান নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি সরাসরি নির্যাতন বলবো না। তবে যেহেতু ক্ষত হয়ে গেছে, সেটি অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় আমরা অনুতপ্ত।’
বকুল বিশ্বাস বলেন, ‘বুলবুল আমার ছোট বোন। আমরা পাশাপাশি ঘরেই থাকি। ঘটনার দিন আশা আমাকে হুমকি দেয়, মেরে ফেলবে। একথা শুনে ক্ষোভে রুটি ভাজার গরম খুন্তি দিয়ে ওকে (আশা বিশ্বাস) ঠেলে সরিয়ে দেন বুলবুল।যেহেতু খুন্তিটি গরম ছিল সে কারণে যেসব স্থানে লেগেছে, সেসব স্থান পুড়ে গেছে।’
বকুল দাবি করেন, নির্যাতিত ১৩ বছরের আশা বিশ্বাস মানসিক বিকারগ্রস্ত।
তবে পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকা আশা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বকুল ও বুলবুল বিশ্বাস প্রতিদিন দুইবেলা মারধর করতেন। ঠুনকো অজুহাতে লোহার রড ও গরম খুন্তি দিয়ে পিটিয়ে আহত করতেন। তাদের দুইজনের নির্যাতনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের রিফিউজি কলোনি এলাকার বুলবুল ও বকুল বিশ্বাসের বাসা থেকে নির্যাতিত আশা বিশ্বাসকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আশা ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ডেভিড বিশ্বাস ও মেরী বিশ্বাসের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে।
সান নিউজ/ এআর