নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বিয়ের পরে স্বামীর সংসারে সুখে রাখার তাবিজ দেওয়া ও ঝাঁড়-ফুঁকের নামে নিজের নাতনিকে (ভাগ্নেবধূর মেয়ে) ধর্ষণকারী শঙ্কর দেবনাথকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গত শনিবার (৮ আগস্ট) রাতে ধর্ষণ করেন ওই ভণ্ড ফকির।
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর বাজার রোড সাগর গলিতে ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ফকির শঙ্করকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ধর্ষক। বুধবার (১২ আগস্ট) এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
শঙ্কর দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে তার ভাড়া বাসায় ‘ফিকির’ (ঝাঁড়-ফুঁক) দিয়ে আসছিলেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ঢাকার কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরা মালোপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে বরিশালে আসেন।
মেয়েটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ের শরীরে জণ্ডিস হয়েছে। আমার মামাশ্বশুর শঙ্কর দেবনাথ অনেকদিন ধরেই শিশু-কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন রোগের ঝাঁড়-ফুঁক দিতেন। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বরিশালে আসতে বলেন।’
‘বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) এসে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে তার বাসায় উঠি। তিনি শনিবার (৮ আগস্ট) রাত ১০টার পরে আমার মেয়ের শরীরে জটিল রোগ বাসা বেধেছে, স্বামী সংসারে সুখে থাকবে না বলে জানান। শরীরের রোগ এবং বিয়ের পরে সংসারে সুখি হতে হলে তাকে নাওন (গোসল) দিতে হবে মর্মে তার ফিকির দেওয়ার কক্ষে রাখেন। আমি পাশের কক্ষেই ছিলাম। যেহেতু তিনি আমার মামাশ্বশুর, আর আগেও তার বাসায় আমরা আসা-যাওয়া করতাম। তাই সন্দেহের কিছু করিনি। কিন্তু আমার মেয়ে নাওন শেষে বের হয়ে জানায়, তাকে কক্ষে আটকে ঝাঁড়-ফুঁকের নামে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
ওই কিশোরী বলেন, ‘আমাকে ভয় দেখিয়ে ফিকির ঘরে আটকে দাদু ধর্ষণ করেন।’
ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত কিশোরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড ফকিরকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শঙ্কর দেবনাথ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
সান নিউজ/ এআর