নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর: রংপুরে অটোরিকশা ছিনতাই করতেই এর চালক হাফিজুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের উত্তরপাড়া পাঁঁচঘরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের আমবাগানে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ার আলম মিয়ার ছেলে হাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামি নগরীর সাতগাড়া সবুজপাড়ার ফরহাদ হোসেন, দূর্গাপুর বড়বাড়ির জাহাঙ্গীর আলম কলক, অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত গুড়াতিপাড়ার সাজেদুল ইসলাম সাজু, মিঠাপুকুরের ভাংনী বাজারের সুলতান মিয়া এবং সংগ্রামপুরের সোহেল রানা বাবু গত সোমবার (১০ আগস্ট) রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহীর মিঠাপুকুর আদালতে ১৬৪ ধারায় ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণনায় আসামিরা বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি তিন বন্ধু ফরহাদ, সুলতান ও কলক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যান। এক পর্যায়ে তারা অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যান। সেখানে হাফিজুরের অটোরিকশায় নগরী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের নির্জন জায়গায় যান। পথে তারা হাফিজুরকে অবচেতন করতে গোপনে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এতে হাফিজুর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। খোড়াগাছ ইউনিয়নের নির্জন রাস্তায় চার্জার অটো রেখে তারা হাফিজুরকে পাশের আমবাগানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, হাফিজুর হত্যায় মামলা হলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় গত ২১ জুন পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমারের নির্দেশে মামলাটি বদলি করা হয় জেলা গোয়েন্দা শাখায়। গোয়েন্দা বিভাগের এসআই মনিরুজ্জামান তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত অটোরিকশাটিও জব্দ করেন।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশে বদলির পর দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি।’
সান নিউজ/ এআর