নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হােটেলে অভিসারে উঠে প্রথমেই পড়লো ভূয়া ডিবির খপ্পরে। এরপর জিম্মিদশা থেকে বাঁচতে প্রেমিকাকে হাতবদল করলো ডিবি পরিচয়দানকারী ওই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির কাছে। তারপর হোটেল মালিকের সহায়তায় চারবার ধর্ষণ। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ডিবি পরিচয়দানকারীকে ধরতে কোতোয়ালি পুলিশ হাজির হলে বের হয়ে আসে আসল ঘটনা।
এ ঘটনায় ধর্ষিত কিশোরীর মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ধর্ষিত কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রেমিক সজল কর্মকার (২৫), ডিবি পরিচয়দানকারী ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকির (৫৩) ও হোটেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার (৫৫)।
শনিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় এই ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী এলাকার সজল কর্মকারের সঙ্গে বরিশালের গৌরনদীর মুসলিম কলেজছাত্রীর পাঁচ বছর ধরে প্রেম চলছিলো। শনিবার বিয়ের কথা বলে ওই কলেজছাত্রীকে বরিশালে এনে সাগরদী ব্রিজ সংলগ্ন হোটেল মুনে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে উঠে একবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন সজল কর্মকার। দুজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ওই হোটেলের ৫নং কক্ষের বোর্ডার বরগুনার বাসিন্দা ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকির সজল ও তার প্রেমিকার কক্ষে ঢুকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে জিম্মি করেন। একপর্যায়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সুরাহার প্রস্তাব দেন। ওই যুগল পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার পরও ডিবি পরিচয়ে ওই কিশোরীকে তিন দফায় ধর্ষণ করেন জাকির। এ ঘটনা ওই কিশোরী কোতোয়ালি থানায় মুঠোফােনে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তিনজনকে গ্রপ্তার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার এসআই শাহাজালাল জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তবে ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকিরকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ভাই বশির উদ্দিন।
সান নিউজ/ এআর