অপরাধ

ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার জাফরিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খুলনা: বহুল আলোচিত নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় ট্রিপল মার্ডারের মূল আসামিদের একজন জাফরিন শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

জাফরিন ট্রিপল হত্যাকাণ্ড মামলার হোতা জাকারিয়া ও মিল্টনের ভাই।

সোমবার (৩ আগস্ট) খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার জানান, মামলার ৩নং আসামি জাফরিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

ট্রিপল মার্ডারের ১৭ দিন পরে আসামি মো. জাফরিন শেখের স্বীকারোক্তি অনুসারে রোববার (০২ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে আসামিদের ব্যবহৃত অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা মহানগর ডিবি’র ইন্সপেক্টর এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম এ সময় মশিয়ালী গ্রামে আসামিদের বাড়িতে ঢোকার প্রাচীরের পূর্বপাশের শেখ বাড়ির কবরস্থানে দুইটি দেশে তৈরি ওয়ান স্যুটার গান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং তিন রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ পায়।

গত ১৬ জুলাই রাতে মশিয়ালি ইস্টার্ন গেট এলাকায় তিন সহোদর জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন বাহিনীসহ আরো ১০/১২ জন স্থানীয়দের উপর গুলিবর্ষণ করেন। গুলিতে নিরীহ তিনজন এলাকাবাসী মো. নজরুল ইসলাম (৬০), গোলাম রসুল (৩০) ও মো. সাইফুল ইসলাম নিহত এবং আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ২টার দিকে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটনের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন এবং হামালাকারীদের একজন জিহাদ শেখকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।

এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের বাবা সাইদুল ইসলাম খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি শেখ জাফরিন, অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিল্টনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

১৮ জুলাই বিকালে মূল অভিযুক্ত শেখ জাকারিয়ার ভাই শেখ জাফরিন হাসানকে এবং ১৭ জুলাই জাফরিনের ভাই জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তারা এখন কারাগারে।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে ২১ জুলাই সোয়াটে বদলি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই লুৎফুল হায়দারকে পরিবর্তন করে ওসি (তদন্ত) কবীর আহমেদকে তদন্তের দ্বায়িত্বভার দেওয়া হয়। ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্তভার কেএমপি ডিবি'র ইন্সপেক্টর এনামুল হকের কাছে হস্তান্তর করে।

সার্বিক বিষয় তদন্তে পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শিপ্রা রাণী দাস। গত ২২ জুলাই থেকে তদন্ত কমিটি ঘটনার তদন্ত করছে।

সান নিউজ/ এআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প...

প্রকল্পের সব তথ্য ওপেন থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে প্রকল্পের সব তথ্য ওপেন থাকবে। শু...

মুন্সীগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে সরকারি...

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে নিম...

ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজ...

বন্ধ করা হবে অবৈধ ইটভাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এব...

মোদী-ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রে 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই...

চালু হচ্ছে কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাল থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স...

আগস্টে সড়কে নিহত ৪৭৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে গত আগস্ট মাসে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনা...

পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা