কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পাষণ্ড স্বামী লিমন মিয়া (২৮) গরম ডাল ছুড়ে দিয়েছে স্ত্রীর শরীরে। এতে ঝলসে গেছে স্ত্রী উম্মে হাবিবা রুমি (২৪) ও তার শিশু সন্তানের শরীর।
আরও পড়ুন : বিএনপির ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার
পরে বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পূর্ব বজরা সরকার পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র লিমন মিয়ার সাথে ৬ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী তবকপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া মাস্টার পাড়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের মেয়ে উম্মে হাবিবা রুমির সাথে বিবাহ হয়।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাকে পুনরায় সভাপতি করার দাবি
বিবাহের সময় দিনমজুর পিতা রফিকুল ইসলাম তার মেয়ে জামাই লিমন মিয়াকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেন। এর কিছুদিন পর আরও এক লাখ টাকার আনার জন্য স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায় সময় রুমিকে চাপ দিতো। বাবা টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় রুমী তার স্বামীকে।
এ নিয়ে রুমিকে প্রায় সময় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসতো। এ বিষয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
আরও পড়ুন : বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে যৌতুকের টাকার জন্য রুমিকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এক পর্যায় লিমন স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গরম ডাল ছুড়ে মারে। এতে রুমি ও ১৪ মাসের সন্তান রিফাত হাসানের শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।
রুমি তার বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। এরপর রুমির বাবা রফিকুল এবং সাথে আরও কয়েকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পথে জামাই তার অসুস্থ শিশু সন্তানকে কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন : আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
গুরুতর আহত রুমিকে তার বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে থানা পুলিশ আহত শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে মা ও সন্তান চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় রুমি উলিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানান। এ ব্যাপারে ঘাতক স্বামী লিমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আর কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি।
সান নিউজ/এইচএন