সান নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গাংচিল-কবির বাহিনীর মূলহোতা মো. কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সে হত্যা, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলাসহ ২৬টির বেশি মামলার পলাতক আসামি ছিল।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা অব্যাহত
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত বছরের গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির বাহিনীর মূলহোতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কবির হোসেন ওরফে জলদস্যু কবির ওরফে দস্যু কবির ওরফে গাংচীল কবিরকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করে র্যাব। পরবর্তীতে কবির ৫ মাস ১৬ দিন কারাগার থেকে চলতি বছরের ১৭ জুন জামিনে বের হন।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণে নিহত ৬
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কবির হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও নগদ এক লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
কারাগার থেকে বের হয়ে কবির আবার ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক অপরাধে জড়িয়ে পরেন। গত কয়েকদিন ধরে মোহাম্মদপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়। এ ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র্যাব-২ মোহাম্মদপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: শনাক্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে জাপান
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকার করেছেন। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত কবির বাহিনী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অস্ত্র, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, মারধরসহ মোট ২৬টি মামলা রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর