নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।'
শনিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা সিএমএম আদালতে প্রবেশের সময় এভাবেই চিৎকার করে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেন নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রী শারমিন জাহান।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে করা মামলার একদিন পরই শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে। শনিবার আদালতে হাজির করা হলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারী রেজিস্টার বলেন, ‘আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি নকল মাস্ক দিয়ে থাকি তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে সেটা ফেরত দেবেন। কিন্তু সেটা না করে আমার নামে মামলা দিলেন।’
মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে শারমিনকে নেয়া হয় আদালতে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন।
করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ‘নকল’ মাস্ক সরবরাহ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার।
তার প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের অনুমতি পেয়েছিলো। তবে নকল মাস্ক দেয়ার অভিযোগ এনে শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে শারমিন জাহানকে।
মামলায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিন জাহানকে ১৮ জুলাই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল। শারমিন ২০ জুলাই দেয়া জবাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন, যা দোষ স্বীকারের শামিল। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
শারমিন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর করেন। ২০০২ সালে ছাত্রলীগের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে কোনো পদ না পেলেও দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।