নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: নেই পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি কিংবা পরীক্ষা করার টেকনোলজিস্ট। কম্পিউটারে মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়া হতো রোগীদের। এমন অভিযোগ পেয়ে বরিশাল নগরীর ডায়াগনস্টিক সেন্টার দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সবগুলো অভিযোগের সত্যতাও পান।
পরে ওই ডায়াগনস্টিকের মালিক হোসেন শাহীন ও শ্যামল মজুমদারকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তাদের সহযোগী ইব্রাহিম রানা ও শ্যাম সাহাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বরিশাল প্রেসক্লাবের ঠিক বিপরীত পাশে দীর্ঘদিন ধরে দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন হােসেন শাহীন ওরফে ঝাড়ুদার শাহীন। গত বছরের ডিসেম্বরে একই উপায়ে রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছিল দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসকে।
ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আবারো অভিযান চালানো হলে সত্যতা পাওয়া যায়। দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট মুজিবুর রহমান ও ডা. জাকির হােসেন খন্দকারের স্বাক্ষর নকল করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণাপূর্বক ভুল মনগড়া চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল। মেডিকেল প্র্যাকটিস, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৩(২) ধারায় মালিক ও সহযোগীদের সাজা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. জাকির হােসেন খন্দকার বা টেকনোলজিস্ট মুজিবুর রহমান কেউ ওই ডায়াগনস্টিকে বসেন না। এমনকি দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসের কার্যক্রম পরিচালনার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০১৭ সালে।
সান নিউজ/ এআর