সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি : নিহত বেড়ে ৩৯
মিতু হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিক ইলিয়াসের ‘মিথ্যা তথ্যের’ বিষয়টিও সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিস্তারিত জানাবেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন : মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে
তিনি জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই সদরদপ্তরে মিতু হত্যা মামলা সংক্রান্তে বাবুল আক্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইনের মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। ইউটিউবে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি।
পোস্টকৃত সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন বনজ কুমার। এছাড়া তাকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপে ব্রাজিলের নেতা হবে নেইমার
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন : নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই
পিবিআই পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায়। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে তিনি। তখন থেকে দুটি মামলার তদন্তও করছে পিবিআই।
এদিকে সাংবাদিক ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। তবে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
সান নিউজ/এইচএন