নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমের বিরুদ্ধে গঠিত তিনটি মামলার মধ্যে অস্ত্র ও মাদক মামলায় নাম পরিবর্তন করে গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারী জামিন আবেদন করা হয়। বাদীপক্ষের আবেদন অনুযায়ী দুটি মামলাতেই জামিন দেন আদালত।
পরে মার্চ মাসে গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হলে আবারো এই মামলা আদালতে উত্থাপন করা হয় এবং আদালতকে জানানো হয় এই মামলার প্রধান আসামী জিকে শামীম। জামিন আবেদনের সময় নাম পরিবর্তন করে গোলাম কিবরিয়া উল্লেখ করা হয়, তাই রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি করেনি। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জামিন বাতিল করে।
বিষয়টি মামলা দুটিতে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নাম বিভ্রাট করে জামিন করানোর সাথে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্তের কথা থাকলেও, সেই তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই।
এই মামলার জামিন কেলেঙ্কারিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ভূমিকা এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে গত ১২ জুলাই মাইটিভিতে সংবাদ প্রচার করে সিনিয়র রিপোর্টার সাইদুর রহমান আবির। সংবাদ প্রচারের পর ১৪ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা সংবাদটিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রোণোদিত আখ্যা দেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় ফৌজদারি দেওয়ানী এবং আইসিটি এ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা নিজ স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠান মাইটিভি কার্যালয়ে।
এ ব্যাপারে রিপোর্টার সাইদুর রহমান আবির জানান, সার্বিক বিষয় এবং ঘটনা তদন্তের অগ্রগতির উপর নিউজ করেছি, কোন ব্যক্তিকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। তারপরও মামলার হুমকি পাচ্ছি যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিব্রতকর।
আর মাইটিভি কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা সরকারের এবং আদালতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, তাদের বের করার তদন্তের অগ্রগতির উপর নিউজ করায় মামলার হুমকি গণমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা বন্ধের শামিল।
এবিষয়ে মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।