আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাঙচুর, লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে প্রতিবেশী বখাটে ও তার সঙ্গীরা। তাদের এই তাণ্ডবে ও অপহরণের হুমকিতে ইভটিজিংয়ের শিকার ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী বদিয়তপাড়ায় এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা মোছাঃ শিল্পী খাতুন। তিনি আনসার ভিডিপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
উত্যক্তের শিকার ছাত্রী বলেন, আমি ছমির উদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ি। স্কুল ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে প্রায়ই কিছু বখাটে ছেলে বেশ কিছুদিন যাবত নানা অশ্লীল কথা বলে ও অঙ্গভঙ্গি করে আমাকে উত্যক্ত করে আসছে। অনেক নিষেধ করা সত্বেও তারা বিরত হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন কোচিং থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বুড়ির বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক হতে বদিয়তপাড়ার মাঝের দোলায় আমাকে একা পেয়ে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে প্রতিবেশী আলামিন (২০), আলমগীর (১৮) ও আইনুল (১৬)।
এ সময় প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে থাকা ছোট ছোট আরও কয়েকজন ছেলেকে দিয়ে রাস্তার পাশের ফসলী জমি থেকে কাদা তুলে আমার দিকে নিক্ষেপ করায়। এছাড়াও রাস্তার ভাঙ্গা অংশ থেকে পাথর ও খোয়া তুলে ঢিল মারে। এতে আমি আহত হই এবং আমার জামা কাপড় ও বইয়ের ব্যাগ কাদাজলে ভিজে যায়।
পরে আমি বাড়ি আসার পর মাত্র আইনুল, আলামিন ও আলমগীরসহ তাদের বাবা সামসুল (৪৫), মা আরজিনা (৩৫), চাচা আইজুল (৪৮), চাচী মোছাঃ ফতে (৩৮) ও তাদের ছেলে মো. মারুফ (২৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়কজন ভাড়াটিয়া লোকজনকে নিয়ে লাঠিসোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ এসে আমার মা, দাদীসহ অন্য সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই ছাত্রীর বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ থানায় আসতে বলে। তাই সামসুলসহ তার পরিবারের ৭জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে লিখিত দিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/কেএমএল