সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড
অপরাধ

প্রতারক সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

একই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে ১০ দিন ও কর্মী তরিকুল ইসলামের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে সাহেদকে আদালতে নেওয়া হয়। এ জন্য আগে থেকেই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি। শুনানি নিয়ে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গতকাল বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাহেদকে গ্রেপ্তার দেখায় র‍্যাব। এদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাহেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাঁকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। রিজেন্টের জাল-জালিয়াতি অভিযোগের তদন্ত করছে ডিবি।

র‍্যাব জানায়, গতকাল ভোর পাঁচটার পর সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গবতী খালের সামনে থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল নয়টায় হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসার পর তাঁকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালায় র‍্যাব।

টিভি টক শোর নিয়মিত আলোচক ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে অসংখ্য সেলফি ও ছবি তুলে নিজেকে জাহির করতেন সাহেদ। কিন্তু কোভিড চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে শেষ পর্যন্ত ধরা খান তিনি।

৬ জুলাই র‍্যাব সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। জানা যায়, করোনার ছয় হাজার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে এই হাসপাতাল। হাসপাতালের লাইসেন্সও নবায়ন করেনি। সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে র‍্যাব। তারপরই তাঁকে খুঁজতে সারা দেশে তৎপরতা শুরু করে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, ১৩ জুলাই র‍্যাব মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে।

৬ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সাহেদ কোথায়, কীভাবে ছিলেন, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সাতক্ষীরায় কী করে পৌঁছালেন, কার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এতটা বাড় বাড়লেন, তার জবাব পাওয়া যায়নি। এসব প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব বলেছে, তদন্ত শেষ হলে বলতে পারবে। কখনো বলেছে, তদন্তের স্বার্থে এখন সব বলা যাবে না।

তবে সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, সাহেদ করিম কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন। সোমবার সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে তাঁকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিম্মায় ছিলেন। এক দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সাহেদের পৈতৃক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট। ২০০৮ সালের দিকে বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) ব্যবসায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা আদায় করে চম্পট দিয়েছিলেন। সে সময়ও আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মা হচ্ছেন সানা সৈয়দ

বিনোদন ডেস্ক: বিয়ের ৩ বছর পর মা হতে চলেছেন ‘কুণ্ডলী ভা...

রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষে নিহত ১

জেলা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির সহিংসতার উত্তাপ রাঙ্গামাটিতে ছড়িয়...

অস্ত্রসহ আরসার কমান্ডার গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার উ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ...

বুরহানউদ্দিন রব্বানী’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

৭০ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্...

নূরজাহান’র জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের এক...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেশ...

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা