নিজস্ব প্রতিবেদক:
র্যাবের অফিসে বসে র্যাব কর্মকর্তাদেরই হুমকি দিলেন সাহেদ। র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আপনাদের আবারও দেখা হবে। হয়তো ছয়মাস পর দেখা হয়ে যেতে পারে। আপনাদের প্রমোশন-পোস্টিং যাই হোক না কেন, আমি কিন্তু দেখা করবো। কথাটা মনে রাখবেন।’
গ্রেপ্তারের পরও সাহেদের এমন দাম্ভিকতায় হতবাক র্যাব কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ঢাকার র্যাব কার্যালয়ে প্রতারক সাহেদকে নিয়ে আসার পর কর্মকর্তারা তাকে জেরা করছিলেন। ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে মহাজালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে বুধবার (১৫ জুলাই) গ্রেপ্তার করা হয়। চুলে কালো রং লাগিয়ে, গোফ কেটে নিজেকে পাল্টে ফেলেন সাহেদ। বোরকা পরে একটি নৌকায় করে ইছামতী নদী দিয়ে পালাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে র্যাবের হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।
এরপর সাহেদকে নিয়ে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাড়িতে তার ব্যক্তিগত অফিসে অভিযান চালায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এক লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা। এই জাল টাকায় তিনি ঋণ শোধ করতেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেকআপ শেষে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিকাল ৩টার দিকে র্যাব সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে আমরা সাহেদকে খুঁজছিলাম। তাকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাহেদকে তার পৈতৃক জেলা সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দেবহাটা সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
সান নিউজ/ বি.এম.