নিজস্ব প্রতিনিধি:
তিস্তা ব্যারাজের স্লুইস গেট নিয়ন্ত্রণের অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমের রাউটার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (১২ জুলাই) বিকালে বিষয়টি জানান ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা।
জানা গেছে, সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিল তিস্তা ব্যারাজের শ্লুইস গেট নিয়ন্ত্রণের জন্য। ২০১৮ সালের জুনে এটি বসানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যারাজের ৫২টি গেট অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করেন। সেখানে মোট ৭টি রাউটার স্থাপন করা হয়। এ অবস্থায় ১৮ মাস যেতে না যেতে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি সঠিকভাবে কাজ করেনি। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অটোমেশন কাজের চুক্তি শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি পুরো বিল তুলে নেয় বলেও জানা যায়।
সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজের স্লুইস গেট ৫২টি। এর মধ্যে মূল নদীর পানি প্রবাহের জন্য রয়েছে ৪৪টি ও সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে ৮টি। ২০০৩ সালে তিস্তা ব্যারাজের গেট নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎচালিত সুইচ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। পরে সুইচ রুম নতুনভাবে স্থাপন করতে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একটি প্রকল্প তৈরি করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় ৭টি রাউটারের মধ্যে ৬টি রাউটার পরিকল্পিতভাবে চুরি করার কথা বলা হলেও এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এখানে ২৪ ঘণ্টা আনসার ও পুলিশ টহলে থাকে। ৬টি রাউটার চুরি দেখিয়ে অপর একটি রাউটার খুলে রাখা হয় বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ব্যারাজের ওপর যন্ত্রপাতির সঙ্গে ৭টি রাউটার স্থাপন করা ছিল। রাউটারগুলো কীভাবে চুরি হয়েছে, না কেউ খুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তও চলছে। গতে এপ্রিলে চুরি হয়েছে ৬টি ও জুলাইয়ে একটি। মোট সাতটি রাউটার চুরির মামলা হয়েছে।