নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে মেসার্স জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৮ জুলাই ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সোয়া ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সংস্থার পরিচালক প্রধান মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।
এছাড়া আজ এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১ জুলাই তাদেরকে তলব করে নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২১ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের যথাক্রমে সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করা হয়।
১০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে এক জরুরি বৈঠকে করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি-প্রতারণা অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু অভিযোগ দুদকের হটলাইন ১০৬- এ আসে বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে।