কক্সবাজার প্রতিনিধি: সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থিত বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় ৩০—৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে পরিচালনা কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি। এ ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মুসল্লীদের মাঝে। মসজিদের টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সাধারণ মুসল্লিরা।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক ছিন্নের চেষ্টা
লিখিত অভিযোগে মুসল্লি দানু, সেলিম, ফরিদ, শাহ আলম, ফরিদুল আলম ও ইউনুছ জানান, মসজিদ কমিটির সাবেক সহ—সভাপতি লাল মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন, সাবেক ক্যাশিয়ার মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য নাজিম দীর্ঘ ৬ বছর মসজিদের দায়িত্ব পালন করে। দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে সভাপতির চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদের প্রায় ৩০—৩৫ লাখ টাকা লোপাট করে। এছাড়া মসজিদের অজু খানা ভেঙ্গে দোকান দেওয়ার কথা বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত জামানত নিয়ে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে দেয়।
একইভাবে আরেক ব্যক্তিকে দোকান দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা জামানত নেয়। এসব বিষয় মসজিদের সাধারণ মুসল্লী ও ঝিনুক ব্যবসায়ীরা সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। তিনি মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে জানতে পেরে অজুখানা ভেঙ্গে দোকান নির্মাণ না করতে নির্দেশ দেন। সেই সাথে ওই ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ কমিটি ভেঙ্গে দেয়।
আরও পড়ুন: স্বামীকে নায়ক বানাতে চান মাহি
জানা গেছে, গত ১৩ মে জুমাবার মসজিদে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। আন সিজনে যদি এই পরিমাণ টাকা মিলে তাহলে সিজনে এর তিন—চার গুণ টাকা মিলবে। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ৬ বছর দায়িত্ব পালনকালে মসজিদের যাবতীয় আয়—ব্যয় হিসাব চেয়ে আত্মসাৎকৃত টাকা মসজিদ ফান্ডে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত পবিত্র মসজিদের টাকা লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মসজিদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি সাধারণ মুসল্লীদের।
এ ব্যাপারে সদর এ্যাসিল্যান্ড জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি ইউএনও স্যার অবগত আছেন। নতুন ইউএনও স্যার আসলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ