নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) ভোর রাতে নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই বাছির উদ্দিন বলেন, মামলায় দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান মামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলায় সাত আসামি হলেন, এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩৩), লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার কর্মচারি মো. আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. জাকির হোসেন (৫৪), ইঞ্জিন চালক ড্রাইভার শিপন হালদার (৪৫), ড্রাইভার শাকিল হোসেন (২৮), কর্মচারি সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও মো. হৃদয় (২৪)।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর শ্যামবাজারসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে লঞ্চডুবির পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ৮০ জন ধারণক্ষমতার ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তারা। লঞ্চডুবির পর যাত্রীদের মধ্যে কজন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন সেটিও নিশ্চিত না হওয়ায় এখনো ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/ আরএইচ