নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে ইয়াবা জব্দের ঘটনায় করা প্রথম মামলায় ২ ভাইসহ ৫ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন মহামান্য আদালত।
আাজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ আপিল আদালতের (বিশেষ দায়রা আদালত) বিচারক এস এম এরশাদুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
১) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ছোটপাড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল,
২) তার ভাই সফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকুল ইসলাম,
৩) একই গ্রামের মরহুম অনু মাস্টারের ছেলে সামছুল ইসলাম,
৪) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার মোগড়াপাড়া গ্রামের বাদল সাহার ছেলে সোমনাথ সাহা ওরফে বাপ্পী এবং
৫) ঢাকার ডেমরা থানার মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে এমরান হক।
তাদের মধ্যে সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মাদক আইনের আরেক ধারায় তাকে আরও ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপর ৪ আসামিকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
একই সঙ্গে জব্দ করা মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন সেট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজধানীর নিকেতনে সফিকুল ইসলামের বাসায় তল্লাশি চালায়।
সেখান থেকে ইয়াবা, ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, তিনটি হেরোইন সেবনের পাইপ, দুই পিস যৌন উত্তেজক অ্যাডেগ্রা ট্যাবলেট, ১২০ পিস মরফিন ও অ্যামফিটামিনযুক্ত মাদক, ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১ টি পর্ন সিডি, দুটি মোবাইল সেট জব্দ করে।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: বোর্ড সভা স্থগিত, উপাচার্য অবরুদ্ধ
২০১০ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সান নিউজ/ এইচএন