নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়নি। ঝগড়ার এক পর্যায়ে শিমুকে গলা চেপে ধরেন তার স্বামী, এসময় তিনি মারা যান। শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮) এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশকে।
শিমু হত্যা মামলায় ৩ দিনের পুলিশের রিমান্ডের প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও জানানও, অনেক দিন যাবৎ তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি চলে আসছিল। এরমধ্যে কিছু ব্যাপারে দুজন দুজনকে সন্দেহ করে আসছিলেন। এসব নিয়ে চলছিল কলহ। কিন্তু তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বন্ধুকে নিয়ে কিভাবে লাশ গুমের চেষ্টা চালান তাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, গ্রেফতার নোবেলের বন্ধু ফরহাদ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, হত্যার আগে তিনি কিছুই জানতেন না। বন্ধুর ফোনে সাড়া দিয়ে ওই বাসায় গিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করা হয়। এর আগে এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তা বন্দী অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. আবু সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া জানান, সোমবার দুপুরের দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসিন্দা ছিলেন শিমু। কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অভিনেত্রী শিমুর পরিবার নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শিমু। তিনি কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ নামী ও দেশের শীর্ষ পরিচালকদের নির্দেশনায় আরও কিছু সিনেমায় তিনি কাজ করেন।
সাননিউজ/এমএম