নিজস্ব প্রতিনিধি, নাটোর: নাটোরে মায়ের সাথে রাগ করে খালার বাড়ি যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদরাসাছাত্রী। এ ঘটনায় ৫ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন আরও ৩ ধর্ষক।
আটককৃতরা হলেন, নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪), ছাতনী দিয়ারপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), মোকছেদ আলীর ছেলে কাজল (২৫), জলিল মন্ডলের ছেলে মোঃ আমিনুর (৪৫), মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আস্তুল হোসেনকে (৩৮)।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ওই ছাত্রীর বাবা আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনছুর রহমান জানান, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের এক দিনমজুরকন্যা মাদরাসাছাত্রী বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নতুন পোশাকের জন্য মায়ের সাথে বায়না ধরে। মা নতুন পোশাক দিতে পারবে না জানালে তার সাথে রাগ করে নাটোর সদরের আগদিঘা গ্রামে নানির বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে ছাতনী এলাকায় পথ হারিয়ে ফেলে ওই ছাত্রী। পরে শহিদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয় তার। এ সময় শহিদুল ভুক্তভোগী তার খালার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে দু’জনে পায়ে হেঁটে রওনা দেয়। পথে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের পিছু নেয়। পরে ছাতনী ভাটপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় পৌঁছালে বখাটে শহিদুলকে ভয় দেখিয়ে মাদরাসাছাত্রী ছিনিয়ে নেয়। তারা পাশের একটি লেবু বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ২টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে জরুরি নাম্বার ৯৯৯-এ কল দিলে অভিযানে চালিয়ে রাত আড়াইটার দিকে ভাটপাড়া শ্মশানঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় জহির মন্ডলের লেবু বাগানে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নাটোর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, অতি দ্রুত পলাতক তিন ধর্ষক আটক করা হবে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ