নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাসের কারণে ৮৮ দিন ধরে বন্ধ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হলের ১৭টি কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান এই চুরির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে হল প্রশাসন।
ঘটনা তদন্তে হলটির আবাসিক শিক্ষক শাশ্বতী মজুমদারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ আয়শা সিদ্দিকার মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ জুন) সকালে প্রীতিলতা হলের 'এ' ব্লকের ১৭টি কক্ষের চুরির বিষয়টি হলের কর্মচারীদের নজরে আসে। একইসঙ্গে হলের একটি স্টোর রুমের দরজাও খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে চুরি হওয়া কক্ষগুলোর আবাসিক ছাত্রীদেরকে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের বন্ধের কারণে ছাত্রীরা বাড়িতে অবস্থান করায় চুরির ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি হল প্রশাসন। চুরি যাওয়া কক্ষগুলোতে নতুন করে তালা লাগিয়েছে হল প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের কয়েকজন ছাত্রী জানান, এর আগেও হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হল প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই একসঙ্গে ১৭টি কক্ষে চুরির ঘটনায় হল প্রশাসনের গাফিলতি দেখছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘আমি চুরির ঘটনা শুনেছি। হলে নিরাপত্তার বিষয়টি হল প্রশাসনই দেখভাল করে থাকে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, তবে তালা ভাঙা পাওয়া কক্ষগুলোর মধ্যে অনেক কক্ষেই শিক্ষার্থীদের মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও চুরির বিষয়ে কোনও কিছু অবহিত করেনি।
উল্লেখ্য, করোনভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।