নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে গৃহবধূ হাবিবা আকতার শারমিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তার স্বামী মমিনুর রহমান ও শ্বশুর লাল মামুদ। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহিদ হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সাবুল্লিপাড়া গ্রামে।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।
তিনি জানান, এক বছর আগে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিল শেখের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুকের চুক্তিতে বিয়ে হয় মমিনুরের। বিয়ের সময় ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকি ৪০ হাজার টাকার জন্য প্রায়ই নির্যাতন চালানো হতো শারমিনের ওপর।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুর লাল মামুদ শারমিনের পা চেপে ধরে এবং স্বামী মমিনুর খাটের রোলার দিয়ে পায়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরে বড় স্টিলের মগ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
গুরুতর অবস্থায় তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান শারমিন। বিষয়টি বুঝতে পেরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে পালিয়ে যায় মমিনুর।
মোখলেছুর রহমান বলেন, 'যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকার জন্য ঘটনার দিন শারমিনকে বিষপানের কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অথচ বিষপানের কোনও আলামত পাননি চিকিৎসকরা। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় পরে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খাটের রোলার এবং একটি স্টিলের মগ উদ্ধার করা হয়।’