নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেসহ ৫ আসামিদের সকালে আদালতে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে জানা যাবে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে দোষী কি-না।
মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল।
আসামিরা সবাই জামিনে ছিলেন। তবে রোববার (১০ অক্টোবর) সব আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন।
মামলার কয়েকদিনের মধ্যে ১১ মে সিলেট থেকে সাফাতকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন সাদমানও। অন্য আসামিদেরও এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারপর বিচার শেষ হতে চার বছর লেগে গেলো।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের শাস্তি চাইলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে এই মামলাটি হয়েছে।
মডেল পিয়াসা সম্প্রতি মাদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।
সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে পিয়াসার বিচ্ছেদ হয়। ফারিয়া আর তার সাবেক শ্বশুর দিলদারের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছিলো।
সান নিউজ/এফএআর