নিজস্ব প্রতিবেদক: জাল কার্যাদেশ এবং অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন আসামিরা।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতায় বলেন, জামিন দিলে আসামিরা পালিয়ে যেতে পারেন। ১৭৬ কোটি টাকা তারা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এই টাকা কোথায় কিভাবে আছে তার অনুসন্ধান করা হচ্ছে। একারণে তাদের কারাগারে আটক রেখে এই মামলার তদন্ত হওয়া দরকার।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালতে দুদক শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলফিকার গণমাধ্যমকে জানান।
রহিম ও শহিদুল গত ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন না দিয়ে তাদের দুই সপ্তাহের মধ্য বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয়। সেই নির্দেশনা মেনে তারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
গত ৮ জুন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মসিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ছয়টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া মামলায় উল্লেখিত এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা তুলে আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সান নিউজ/এফএআর