বোমা মিজান
অপরাধ

বোমা মিজানের উত্থান-পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাগ করে ২০০০ সালে জামালপুর থেকে ঢাকায় এসেছিল জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিজান।। ঢাকায় প্রথমে গার্মেন্টে চাকরি শুরু করেন তিনি। তখন তিনি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় একটি মেসে থাকতেন। সেখানেই সুমন নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই সুমনের হাত ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিজান।

বোমা মিজানের দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় এসে খিলগাঁওয়ের চৌধুরীপাড়ার অ্যাথলেটিকস গার্মেন্টে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করে মিজান। পাশের তালতলা এলাকায় একটি মেসে থাকতো সে। সেখানে থাকা অবস্থাতেই সুমন নামে এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হলে সে-ই তাকে জঙ্গিবাদের পথে নিয়ে যায়।

নিজের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া সম্পর্কে বোমা মিজান বলেছে, ‘আমি প্রতিদিন মেসের পাশে গাছতলায় কিছু সময় বসে থাকতাম। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদা কর্তৃক বিমান হামলা হয়। এ প্রসঙ্গ তুলে সে (সুমন) আমাকে কোরআন হাদিস থেকে উদ্বৃতি দিয়ে জিহাদ সম্পর্কে বুঝায়।

মিজান বলেছে, সুমনের এ কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট হই। তখন সুমন জানায়, সে একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আমি তার সংগঠনে যোগদান করি। সুমন আমাকে নিয়মিত নামাজ পড়া, দাঁড়ি রাখা, ট্রেনিং নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়। আমি নামাজ পড়া শুরু করি এবং দাঁড়ি রাখি।

সুমনের নির্দেশে সংগঠনের দাওয়াতি কাজ করি। সুমন বুঝায়, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে নির্যাতিত মুসলমানরা ইসলাম কায়েমের লক্ষ্যে জিহাদ করছে। প্রত্যেক মুসলমানেরই জিহাদ করা ফরজ এবং জিহাদের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমানের শাহাদাতের তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব।

মিজানের দেওয়া ভাষ্য মতে, ‘২০০১ সালে জেএমবির আনুষ্ঠানিক নাম প্রকাশের আগে জামালপুরের নয়াপাড়ায় শায়খ আব্দুর রহমানের বাসায় তার উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মিটিং হয়। মিজান তখন সংগঠনের গায়েরী এহসার। ওই মিটিংয়ে সে ছাড়াও সালাউদ্দিন, আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ, আতাউর রহমান সানি, তারেক, সালমান, ওসমানসহ ১৫-১৬ জন উপস্থিত ছিল।

মিটিংয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার বিরুদ্ধাচরণ করে বুশের বিরুদ্ধে শ্লোগান ও মিছিল করার সিদ্ধান্ত হলে পরবর্তীতে জামালপুর শহরে মিছিল ও সভা হয়। তখন সংগঠনের নাম ছিল মিতালী দল। পরে শুরা কমিটিকে নিয়ে ঢাকায় মিটিং করে সংগঠনের নাম দেওয়া হয় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ- জেএমবি।’

মিজানের ভাষ্য মতে, ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে জামালপুর জেলার দায়িত্বশীল তারেকের নির্দেশে চরশী মাদ্রাসায় একটি ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সেখানে ২০-২৫ জন ট্রেনিং নেয়। কিন্তু কেউ কারও নাম জানতো না। প্রত্যেকের একটি কোড নাম দেওয়া হয়েছিল। আমার কোড নাম্বার ছিল ৫৫০। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিল সালাউদ্দিন, তারেক, মনির, সালমান, শাদ, মোল্লা ওমর। তিন দিনের প্রশিক্ষণ হয় সেখানে।’

মিজান বলেছে, প্রতিদিন রাত একটায় ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসা মাঠে পিটি, প্যারেড, ব্যায়াম, লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা, কারাতে প্রশিক্ষণ হতো। ফজরের নামাজ পর্যন্ত চলতো এই প্রশিক্ষণ। তিন দিনের ট্রেনিং শেষে সবাইকে বায়াত বা শপথ করানো হয়।’

তথ্য বলছে, ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগঠনের নির্দেশে ঢাকায় আসে মিজান ও মোয়াজ। ঢাকায় হাফেজ মাহমুদ তাদের কমলাপুর থেকে রিসিভ করে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সোলায়মানের কাছে পাঠায়। সেখানে তারা দুজন দিনের বেলায় রিকশা চালাতো, আর জেএমবির একটি আস্তানায় থাকতো। ২১ দিন সেখানে থাকার পর সোলায়মান আবারও তাদের ঢাকায় হাফেজ মাহমুদের কাছে পাঠায়।

ঢাকার মুগদা এলাকার একটি মেসে ওঠে সে। হাফেজ মাহমুদের নির্দেশে ‘নিকেল’ সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য পুরনো ঢাকার পাটুয়াটুলীতে একটি নিকেলের কারখানায় দুই মাস কাজ করে সে। মিজান সেসময় জানিয়েছে, ‘নিকেলের ওপর কাজ শেখার উদ্দেশ্য হলো— নিকেলের প্রলেপ দিয়ে দেশীয়ভাবে তৈরি পিস্তল, রিভলভারের মরিচা প্রতিরোধ করা। সেসময়ে সংগঠনের পক্ষে ক্ষুদ্র অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।’

বোমা মিজান সম্পর্কে প্রাপ্ত নথিপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জেএমবিতে বোমা তৈরির প্রধান কারিগর ছিল শাকিল আহমেদ ওরফে মোল্লা ওমর। মূলত মোল্লা ওমরের কাছেই মিজান বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেয়। ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ কুমিল্লার কালিয়াজুড়ি এলাকায় র‌্যাবের এক অভিযানে স্ত্রী, দুই সন্তানসহ নিহত হয় মোল্লা ওমর।

মিজানের ভাষ্য— শুরুর দিকে ডাকাতির সময় সঙ্গে হ্যান্ড গ্রেনেড নেওয়া হতো। গ্রেনেডগুলো সংগঠনের জন্য তৈরি করতো মোল্লা ওমর ও মারুফ। ধীরে ধীরে নিজেও বোমা তৈরিতে দক্ষ হয়ে ওঠে মিজান। বিশেষ করে হ্যান্ড গ্রেনেড ও টাইম বোমা তৈরিতে দক্ষ ছিল সে। এক পর্যায়ে বোমা তৈরির জন্য সংগঠনে তার নামই হয়ে যায় বোমা মিজান।

গ্রেফতারের পর র‌্যাবের কাছে দেওয়া ভাষ্যে মিজান বলেছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির জন্য এবং সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, কক্সবাজারে যাত্রাপালা, সিনেমা হল এবং আদালতে হামলার জন্য সে নিজেই বোমা বানিয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে যে বোমা হামলা চালিয়েছিল জেএমবি, সেই হামলায় কক্সবাজার এলাকায় থেকে অংশ নিয়েছিল মিজান।

মিজানের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালের জুন মাসে আতাউর রহমান সানির নির্দেশে কক্সবাজার জেলার দায়িত্ব পেয়ে সেখানে যায় মিজান। সেখানকার চেচুয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতে থাকে। তার সঙ্গে আনাস, মাসুম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ, হাফেজ জাফর ও দেলোয়ার ছিল। ওই বছরের ১৪ বা ১৫ আগস্ট ঢাকা থেকে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মোহাম্মদের কাছে ৪০টি বোমা পাঠানো হয়।

মিজান চট্টগ্রাম থেকে ছয়টি বোমা নিয়ে কক্সাবাজার যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মতো ১৭ আগস্ট সঙ্গীদের নিয়ে আদালতের বাইরে এবং মার্কেটের চারটি স্পটে চারটি বোমা ফিক্সড করে রাখে। সকাল সাড়ে ১০টায় সেসব বিস্ফোরিত হয়।

মিজান তার ভাষ্যে বলেছে, ‘আমি কক্সবাজারে বসে ৫/৭টি বোমা তৈরি করি। এরপর চট্টগ্রামে গিয়ে জাবেদ ইকবালের তত্ত্বাবধানে সিটি গেট এলাকায় দুটি বই বোমা, একটি ফ্ল্যাক্স বোমা ২-৩টি জ্যামিতি বক্স বোমা ও ১৪-১৫টি হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করি। আমার তৈরি করা বোমা দিয়ে ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর সাড়ে ১১টায় কোতোয়ালি থানা বাজার এলাকায় জাবেদ ও মাসু এবং দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের কোর্ট বিল্ডিং নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় জজ আদালতে আনাস ও মাসু বিস্ফোরণ ঘটায়।

এছাড়া, ২৯ নভেম্বর সকাল ৯টার সময় চট্টগ্রাম জজ শিপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ক্যান্টিনের সামনে রাস্তায় জাবেদ বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ে ২০০৮ সালে আরেকটি আদালত মিজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আর এক বিচারকের এজলাসে বোমা হামলার দায়ে তার হয় ২০ বছরের কারাদণ্ড। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আরেক মামলার রায়ে চট্টগ্রামের একটি আদালত বোমা মিজানতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।

ভারতে মিজান
২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকার সবুজবাগে র‌্যাবের এক অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের পর অন্যদের সঙ্গে দুটি মামলা হয় মিজানের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের ভয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে নওগাঁ হয়ে ভারতে চলে যায় মিজান। মিজানের ভাষ্য— নওগাঁর সাপাহারে গেলে সেলিম নামে একজন তাকে রিসিভ করে। রাতে সেখানে অবস্থান করার পরদিন তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের অর্থ দিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করে।

ব্যর্থ হয়ে রাতের বেলা ভারতীয় সীমান্ত পার হলে আরিফ নামে এক জেএমবি সদস্য তাকে রিসিভ করে মুর্শিদাবাদের মেসে নিয়ে যায়। সেখানে কাপড়ের ব্যবসা করে দিন যাপন করতো মিজান। ব্যবসার পাশাপাশি ২-৩ জন বাংলাদেশি ও ১৪-১৫ জন ভারতীয় নাগরিক মিলে তারা সেখানে সাংগঠনিক কার্যক্রমও করে।

মিজান সম্পর্কিত নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালে একবার দেশে ফিরে এসে কোরবানির ঈদের পর কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে আবারও ভারতে প্রবেশ করে বোমা মিজান। এক সপ্তাহ পর তার স্ত্রী হালিমা নুসাইরও অবৈধপথে ভারতে প্রবেশ করে। সাইফ নামে এক সহযোগীর মাধ্যমে নদীয়া জেলার করিমপুর থানা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে সে। ২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করে বোমা মিজান।

এক সময় দেশে ফিরে আসলে ২০০৯ সালের ১৪ মে রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা থেকে বোমা মিজানকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতারের পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে বোমা মিজানসহ তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় জেএমবির নাসরুল্লাহ বিগ্রেড।

ওই ঘটনার পরদিনই মিজানের দুই সহযোগীর একজন রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ পুলিশের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে ত্রিশালের ঘটনার পর মিজানকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। তবে ওই সময়ই তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং সেখানে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করেন।

তখন থেকেই সালাউদ্দিন সালেহীন ও বোমা মিজান ভারতে আত্মগোপনে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। ওই বছরের অক্টোবরে খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর আবারও মিজানের নাম আলোচনায় আসে।

জঙ্গি নিয়ে কাজ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন কর্মকর্তারা বলছেন, জেএমবি এখন আন্তর্জাতিক রূপ নিয়ে তাদের মূল দল করেছে জামাআতুল মুজাহিদীন। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ এবং জামাআতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়া বা জেএমআই হলো শাখা। জেএমআইয়ের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল বোমা মিজান। ভারতে আত্মগোপনে যাওয়ার পরপরই ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ের হামলা চালায় মিজান।

গত জানুয়ারিতে বুদ্ধগয়ায় বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামাকে হত্যা পরিকল্পনা এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বোমা মিজানের নাম পায় গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়েই গত ৬ আগস্ট ব্যাঙ্গালুরু থেকে ভারতীয় দুই সহযোগীসহ বোমা মিজানকে গ্রেফতার করে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

এনআইএর কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে জেএমবির জঙ্গি তৎপরতায় নেতৃত্ব দেওয়া জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানকে বর্ধমান বিস্ফোরণের মামলায় ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), বিস্ফোরক আইন ও বিদেশ আইনের মোট সাতটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল মিজানের বিরুদ্ধে।

তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন। রায়ে পাঁচটি ধারায় বিচারক মিজানকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর দুটি ধারায় দেওয়া হয়েছে দুই বছর করে সাজা। সবগুলো ধারার সাজা একের পর এক কার্যকর হবে। তাতে সব মিলিয়ে মোট ২৯ বছর জেল খাটতে হবে এই জঙ্গিকে। সেই সঙ্গে তাকে ২৯ হাজার রুপি জরিমানাও করেছে আদালত।

সর্বশেষ, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেক পোস্টে জেএমবি’র আত্মঘাতী বোমা হামলা মামলায় জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর জীবিত আসামি জেএমবির চট্টগ্রাম শাখার বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবালকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

রোববার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। নানা আইনিপ্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর শুক্রবার রায় ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ।

সান নিউজ/এনকে/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের রাজধা...

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের এক...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত ১২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গা...

আজ বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-বেলজিয...

ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত...

অটোরিকশার বিষয়ে যে বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অটোরিকশা সম...

পেপার মিলে অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ১১

জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি পেপার মিলে অগ্...

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নিহত ২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখ...

আমরা সব লিপিবদ্ধ করে যাবো

বিনোদন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা