নিজস্ব প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুরে একে আজাদ ওরফে এএস আজাদ (৬২) নামে এমন এক ভুয়া ডাক্তারের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজার থেকে এই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে র্যাব। এ সময় ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া প্যাড ও চিকিৎসাপত্র, ওষুধ ইত্যাদি মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
আজাদের কোনো ডিগ্রি নেই। অথচ নামের পাশে লেখেন সকল রোগ বিশেষজ্ঞ। আর এই টাইটেল দিয়েই করছেন চিকিৎসা। তাও এক দুই বছর নয়, টানা ৩০ বছর চলছে তার এই অপচিকিৎসা। এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চিকিৎসা করেন তিনি। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার পারগুরুদাসপুর মহল্লার মৃত হাসেন আলীর ছেলে।
তিনি অপরাধ স্বীকার করায় আজাদকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাবের কম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সানরিয়া চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আজাদ চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়ার বিলদহরসহ বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার খুলে ইতিপূর্বে নানা রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। তার ডিগ্রি নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তিনি সব গুঁটিয়ে নিজ এলাকায় চাঁচকৈড় বাজারে দালালদের সহযোগিতায় রোগী দেখতেন। এ ছাড়া তিনি নিজ বাড়িসহ টাঙ্গাইলের থানা পাড়ার শহীদ সোহেল হাজারী রোডে রোগী দেখতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, চোরের ১০ দিন দারোগার একদিন। ভুয়া ডাক্তার আজাদ কিছু স্টেরয়েড ওষুধ দিয়ে রোগীকে সাময়িক সুস্থ করলেও পরবর্তীতে ওই সব রোগীদের নানান সমস্যা দেখা দেয়।
আদালত পরিচালনাকারী গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, ডাক্তার না হয়েও সব রোগের বিশেষজ্ঞ কেউ হতে পারেন এমন প্রছন্ন প্রতারণা এর আগে দেখিনি। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ