নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরে জেলা যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়ার বিরুদ্ধে সদর হাসপাতালের প্রায় চার কোটি টাকার টেন্ডার সিডিউল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগের সামনে নাটোর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের কাছ থেকে সিডি্উল ছিনিয়ে নেন তিনি। এ সময় স্বপনের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বর এলাকায়।
নাটোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নাটোর সদর হাসপাতালের ঔষধ, খাবার, আসবাবপত্রসহ মোট ৬টি গ্রুপে প্রায় চার কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি সিডিউল বিক্রিও হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সিডিউল ক্রয় এবং ৩ অক্টোবর জমা দেওয়ার শেষ দিন রয়েছে।
ভিডিও চিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে টেন্ডারের সিডিউল ক্রয় করেন নাটোর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন। সিডিউল ক্রয় করে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের বর্হিগমনের ফটকের সামনে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া সিডিউল ছিনিয়ে নেন। পরে জেলা ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
নাটোর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন অভিযোগ করেন, আজ দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে ছয়টি গ্রুপের দুটি কাজের টেন্ডার সিডিউল ক্রয় করেছিলাম। এ খবর পেয়েই জেলা যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া দলবল নিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছ থেকে এহিয়া চৌধুরী ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। এহিয়া বলেছেন, আমি (এহিয়া) ছাড়া কেউ টেন্ডার জমা দিবে না। আমাকে শিডিউল উত্তোলন ও জমা দিনে নিষেধ করে গেছেন। কিন্তু আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
তবে বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শফিউল আযম কোনো দরপত্রই কেনেননি। তাই তার কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবু সাদাদ জানান, কেউ টেন্ডার সংক্রান্ত অভিযোগ থানায় দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় জানান, এ বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেনি। তাছাড়া টেন্ডারের শিডিউল ক্রয় করে বাহিরে কোন ঘটনা ঘটলে এটা তাদের এখতিয়ারের মধ্যে নয় বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বগুড়ার আলিয়া কর্পোরেশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিডিউল ক্রয় করে বের হওয়ার সময় জেলা যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া সিডিউল ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
সান নিউজ/এমকেএইচ