নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তুষার কান্তি সাহার বাড়ি ভারতে, কিন্তু চাকরি করেন সিলেটে। অন্য একটি দেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিভাবে তিনি কাজ করছেন তা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনসহ সদস্যরা।
ওই বৈঠকে জানানো হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বিরুদ্ধে সংসদীয় কমিটিতে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তিনি সিলেটে থাকলেও প্রায় অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া আসা করেন। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা দুর্নীতিরও অভিযোগ।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। সচিব আর একজন যুগ্ম সচিবকে দিয়ে তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষীও করা হয়নি, আবার ছাড়ও দেওয়া হয়নি। তবে দায়সারাভাবে তদন্ত হওয়ায় প্রতিবেদনটি আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি।
এবার সচিবকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কাউকে দিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সচিবকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন বলেন, তুষার কান্তি সাহার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে বসবাস করেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ