নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র করা মামলায় সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান ও তার স্ত্রী হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আলী হোসেন তাদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
এ দিন তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। আদালত একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট আব্দুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ চার হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ ছাড়া তার স্ত্রী হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও তিন কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১১ আগষ্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা নিয়ে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে হেরে যান। গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে আর মনোনয়ন দেয়নি।
প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মান্নানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ৪ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তিনদিনের মাথায় ২৪ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট মান্নান খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। সেখানে মান্নান খানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মান্নান খানের আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তিনি।
তদন্ত শেষে হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, তদন্তে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর