নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে ইভানা লায়লা চৌধুরীকে (৩২) আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ইভানার বাবা আমানুল্লাহ চৌধুরী। এর আগের দিন মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
শাহবাগের পরীবাগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে ইভানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুলের ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সেলর ছিলেন।
ইভানার বোন ফারহানা চৌধুরী বলেন, গতকালও আব্বা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা থেকেই আজ ডাকা হয়েছিল, আজ (শনিবার) রাতে তারা মামলা নিয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যার পর আব্বা থানায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তখন পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই আমরা আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
আসামিরা হলেন- ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এবং ইভানার এক চিকিৎসক। মামলার বর্ণনায় রয়েছে, আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান অন্য সম্পর্কে জড়ানোয় আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি এই আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে এমন ওষুধ দেওয়ায় চিকিৎসককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বর্ণনায় আরও বলা হয়, ওই চিকিৎসকের পরামর্শপত্র অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইভানাকে গত এক বছর ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছিল। ইভানা তার বন্ধুদের জানান, প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার স্বামী রুম্মান তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত করা হবে।
একদিন পর কেন মামলা নেওয়া হলো এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছু ব্যাপারে অস্পষ্টতা থাকায় তখন মামলা নেওয়া হয়নি। এখন সেগুলো কেটে যাওয়ায় মামলা নেওয়া হয়েছে।
ইভানার পরিবার বলছে, ইভানা ও তার স্বামীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর ইভানার শ্বশুরবাড়ি থেকে ইভানার বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে তিনি মেয়ের মরদেহ পান।
সাননিউজ/এমআর