নিউজ ডেস্কঃ
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে তাদের মধ্যে দুইজন জামিনে বেরিয়ে এসেছে। তারা হল মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক (ডাইরেক্টর ইনচার্জ) লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম (ফিরোজ)। বাকি ১০ জন এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন জেলে আছেন।
এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজা শেষ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তবে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে থাকা মামলায় এখন সে কারাগারে আছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘আসামীরা জামিনে বের হয়েছে ঠিকই তবে সব তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।’
কারাগার সূত্র জানায়, গত ১৯ মার্চ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া কাশিমপুর-১ থেকে ও ১ জানুয়ারি শফিকুল আলম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁওয়ের মণিপুরীপাড়ার বাসা থেকে লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর রাতে শফিকুল আলমকে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়। সম্প্রতি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করে র্যাব।
কারা সূত্র আরো জানায়, ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা খালেদ, সেলিম প্রধান, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও হাবিবুর রহমান মিজান কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আছেন। ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন। যুবলীগ নেতা আরমান, কাউন্সিলর ময়নুল হক (মনজু), আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ভূঁইয়া ও রূপন ভূঁইয়া বিভিন্ন কারাগারে আছেন।