নোয়াখালী প্রতিনিধি: অস্ত্রধারী ৩ তরুণের একটি ভিডিও সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী শহরে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের হামলা ও ধাওয়া চলার সময় ওই ৩ তরুণ গুলি ছোড়েন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে এক তরুণ প্রতিপক্ষের দিকে অস্ত্র থেকে গুলি ছুড়ছেন। অপর পক্ষের মধ্যেও অস্ত্রধারী দুই তরুণ ছিলেন। তাদেরকেও গুলি করতে দেখা গেছে।
বিবাদে জড়ানো আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের কেউই তিন অস্ত্রধারী তরুণকে নিজেদের লোক হিসেবে স্বীকার করছে না। উভয়পক্ষই অস্ত্রধারীদের প্রতিপক্ষের লোক দাবি করছে। একইসঙ্গে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।
শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, রাজনৈতিক সংঘাতে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা এভাবে প্রকাশে অস্ত্র ব্যবহার করলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বিপদের পড়বেন।
সুধারাম থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করার একটি ভিডিও আমি পেয়েছি। পুলিশ ঘটনার ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের সঠিক শনাক্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ৩৮ সেকেন্ডের। ভিডিওটি শহরের জামে মসজিদ মোড়ের দক্ষিণ পাশের সড়কের পশ্চিম দিকের কোনও একটি বহুতল ভবন থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে দেখা যায়, ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল তরুণ দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছেন। তাদের মধ্যে অস্ত্রধারী ৩ তরুণ ছিলেন। যাদের মধ্যে সাদা জামা পরা একজন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য একাধিক গুলি ছোড়েন। বাকি দুজনের একজন রঙিন টি-শার্ট পরা, অন্যজন খয়েরি জামা পরা। গুলি করার প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই প্রতিপক্ষের ধাওয়ার মুখে তারা অস্ত্র হাতে দৌড়ে দক্ষিণ দিকে (পৌর বাজার) পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, গুলি কে করছে আমি জানি না। অস্ত্রধারীরা ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর হবে হয়তো। আমি তাদের চিনি না। প্রতিপক্ষ আমাদের দলের বদনাম করতে এদের আনতে পারে। আমাদের লোকজন তো পিটুনি খেয়ে হাসপাতালে আছে।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। সদর পশ্চিমাঞ্চল থেকে এই অস্ত্রধারীরা এসেছে। এরা কার লোক তা সবাই জানে। এই চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের নাম ও পরিচয়ও সবাই জানেন। আমি এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি। ভিডিওটি এখনো পায়নি। তবে বিষয়টি দেখবো।
সাননিউজ/এমআর