হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : গত ২৫ আগস্ট এক যুবক তার নববধূকে নিয়ে হাওরে ঘুরতে যান। মাঝ হাওরে যাওয়া মাত্রই মুছা মিয়ার নেতৃত্বে ৮ যুবক তাদের নৌকায় উঠেন। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে নতুন দম্পতিকে জিম্মি করেন। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনা ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হুমকি দেওয়া হয়। সামাজিক সম্মানের ভয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘটনাটি গোপন রাখেন। গত বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নববধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরের ওই ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নববধূ। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২২ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা ওখানেই শেষ নয়। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি দিয়ে নববধূর স্বামীর কাছে নয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন ওই নারীর স্বামী। পরে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন ছোট্টু মিয়ার ছেলে সোলায়মান হোসেন রনি (২২), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) ও ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৩)।
লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ৩ জনকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রনি ও মিঠুর পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
সাননিউজ/এমআর