টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা, ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা, দুই যুবলীগ নেতা হত্যা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ডজনখানেক মামলার আসামি আতিকুর রহমান মোর্শেদ। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মোর্শেদের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি অপহরণ করে সৈয়দ আমেনা পিংকিকে বিয়ে করেন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) টাঙ্গাইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাউন্সিলর মোর্শেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন (৫৬)। এ হত্যার বিষয়ে কোনো মামলা বা তদন্ত হয়েছিল কিনা সেই ব্যাপারে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সুমা ওরফে মনা (৪৫), শহরের বিশ্বাসবেতকা এলাকার মুন্সী তারেক পটন (৪৯), মুন্সী তারেক পটনের স্ত্রী লিনা (৪০), সোহেল ওরফে বাবু (২৭), পারভেজ খান ওরফে রনি (৩৬), রাফসান (২৮), অন্তর সূত্রধর (২৭) এবং আয়নাল মিয়া (৪৫)।
মামলায় বাদী সৈয়দ শরিফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, মোর্শেদের বাসার পাশে তিনি পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন। ২০১২ সালের জুন মাসে তার মেয়ে সৈয়দ আমেনা পিংকিকে মোর্শেদের লোকজন অপহরণ করে। পরে ১৭ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে মোর্শেদ পিংকিকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর জোর করে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বালাম বই থেকে মোর্শেদ তাদের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে দেয়। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার এক বাসায় দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ পিংকিকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় মোর্শেদ পিংকিকে হত্যা করে লাশ গুম করে। এত দিন মোর্শেদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাননি বলে তিনি জানান।
গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ ও টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে পৌরসভার সামনে থেকে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোর্শেদ গ্রেপ্তর হন।
সাননিউজ/এমআর