নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর আগে ঢাকার কলাবাগানে খুন হওয়া সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ আট আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (২২ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির)।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি।
সোমবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরের চারজন কারাগারে আছেন।
ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার মধ্যে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন।
আলোচিত এই হত্যাকান্ডের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল।
জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।
অভিযোগপত্র দেয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার আদেশ দেয়া ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
সান নিউজ/এফএআর