নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে বাবা মাদক সেবন ও জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় তার মেয়েকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াচিত্রা বাজারে গত বুধবার (১১ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াচিত্র গ্রামের আকসাম খানের তিন ছেলে সোহেল খান, ইয়ার খান, দোলোয়ার খান ও কেষ্টপুর গ্রামের মোসলেমের পুত্র রুবেল।
আহত হালিমা আক্তার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট নালিশ করলেও ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
আহতের বাবা মো. অদুদ হাওলাদার জানান, এলাকার কতিপয় মাদকাসক্ত জুয়াড়ির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত সোহেল খান সন্ত্রাসী দল নিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, কয়েক দিন পুর্বে স্থানীয় যুবক রুবেলকে মারধর করে বখাটে সোহেল। এ ঘটনায় গত বুধবার দুপুরে ঝালকাঠী সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম গুয়াচিত্রা বাজারে ঘটনার তদন্তে আসলে অদুদ হাওলাদারের সাথে দেখা হয়। ওই দিন বিকালে ওই মামলার আসামিরা এসআই সাইফুলের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানতে পেরে গুয়াচিত্রা বাজারে তার ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। এসময় খবর পেয়ে তার স্ত্রী বিলকিস বেগম ও মেয়ে হালিমা আক্তার বাড়ি থেকে গুয়াচিত্রা বাজারে আসে।
মো. অদুদ হাওলাদার বলেন, তখন স্থানীয় সোহেল খান, তার দুই সহোদর ইয়ার খান, দেলোয়ার খান ও কেষ্টপুর গ্রামের মেসলেমের পুত্র রুবেল চারজন মিলে তার মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তারা তার বাঁ পায়ের বৃদ্ধা আঙুলের নখ উপড়ে ফেলে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমার মেয়েকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল খান ওই কলেজছাত্রীকে হাতুড়িপেটার কথা অস্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়, রাস্তায় হোঁচট খেয়ে ওই ছাত্রীর পায়ের নখ উপড়ে গেছে।
ঝালকাঠী সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ আসার কথা রয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর