নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে মন্দির, দোকান ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) খুলনার সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বিচারক ১১ ও ১২ আগস্টের জন্য তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৮ আগস্ট আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করার পর আজ রিমান্ডের শুনানি হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও সম্রাট মোল্লা, শিয়ালী গ্রামের মঞ্জুরুল আলম, বামনডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলাম শেখ, রানা শেখ, মোমিনুল ইসলাম, মোল্লাহাট উপজেলার বুড়িগাংনী গ্রামের আকরাম ফকির, সোহেল শেখ, শামীম শেখ ও জামিল বিশ্বাস।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রূপসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম জানান, গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ আগস্ট তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আজ রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার ১০ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন ৯ জন। অন্য একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরবর্তীকালে সন্দেহভাজন আরও একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাঁকেও রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে।
গত শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে শতাধিক যুবক রামদা, চাপাতি, কুড়াল নিয়ে শিয়ালী গ্রামে হামলা চালান। তাঁরা অতর্কিতভাবে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় স্থানীয় মন্দির কমিটির সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেন। তাঁরা সেখানকার চারটি মন্দিরেও ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় রূপসা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে রূপসা থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
সান নিউজ/এফএআর