নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা গ্রামে ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি হামেদা বেগমকে (৪৫) খুন করেছে তার মেয়ের জামাই শাওন মোল্লা (২৬)।
রোববার (৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহতাবস্থায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শাওন মোল্লার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তানিয়া বেগম (২০) এবং শ্যালক হাসানকে (১৭)। নিহত শাশুড়ি হামেদা বেগম ওই গ্রামের মৈফল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় জামাই শাওন মোল্লাকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। শাওন মোল্লা পার্শ্ববর্তী উলাইল গ্রামের আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে।
হামেদা বেগমের মেয়ে কণা আক্তার জানান, এক বছর আগে আমার বোন তানিয়ার সঙ্গে শাওন মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বোনকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতো এবং একটি অটো গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো শাওন। রাজি না হলে বোনকে মারধরও করতো সে। পরে জানতে পারি শাওন মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা না পেলেই বোনকে মারধর করে। এ বিষয় নিয়েই প্রায়ই তানিয়ার সঙ্গে শাওন ও তার পরিবারের বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে ঈদের কিছুদিন পর বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে তালাকের সমাধান দেন। সেই সমাধান দুই পরিবারই মেনে নেয়।
ঘটনার দিন শাওনের সঙ্গে হামেদা বেগম ও তার পরিবারের বাকবিতণ্ডা শুরু হলে এর এক পর্যায়ে সাবেক শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে শাওন। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে প্রাণে বেঁচে যান কণা আক্তার ও তার সন্তান। তিনি জানান, এলাকাবাসী শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বোন ও ভাইকে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ঘাতক শাওন মোল্লাকে জনগণের সহায়তায় পুলিশ আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হামেদা বেগমের স্বামী মৈফল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
সাননিউজ/ জেআই