নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির সঙ্গে নাট্টনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর অনৈতিক কাজে সহযোগিতার অভিযোগে তাকেও আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সাড়ে ৬ টার দিকে পান্থপথ থেকে চয়নিকাকে আটক করা হয়।
র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)র অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, পরীমনি সংশ্লিষ্টে তার (চয়নিকার) উপর আমরা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। আমাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতার মডেল পিয়াসা, মৌ এবং পরীমনিসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবসায়ীদের ডিজে পার্টি এবং মাদকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। সে সিনেমার নায়িকা পরীমনি।
৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে নানা মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাকে নেওয়া হয় র্যাবের সদর দফতরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে।
পরদিন ৫ আগস্ট মাদক মামলা করে র্যাব। একই দিন তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। পরে এ ঘটনায় সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন পরীমণি।
বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমনি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার যোগাযোগ ও আড্ডা নিতান্ত পেশাগত কারণে।
সান নিউজ/এফএআর