নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কর্মী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে বাবুল আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক থাকা বিষয়টি। কিন্তু গায়ত্রীর বিষয়ে তেমন কিছু জানা যাচ্ছে না। বিষয়টি অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই নারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ২৩ মে ইউএনএইচসিআরকে চিঠি দেয়। সংস্থাটি জুলাইয়ের শেষ দিকে সেই চিঠির জবাব দেয়। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নাইমা সুলতানা বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে করা মামলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গায়ত্রী সিং। বিস্তারিত জানতে তার তৎকালীন কর্মস্থল ইউএনএইচসিআরকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তার বিষয়ে তেমন কিছু জানাতে পারেনি ইউএনএইচসিআর। শুধু জানিয়েছে, মামলার এজাহারের সময়ে গায়ত্রী প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন না। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানাতে পারেনি।
চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, সবকিছুর সমীকরণ মিলিয়ে মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই আমরা এই মামলার শেষ দিকে পৌঁছবো।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে বাবুল আক্তারের মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
বাবুল আক্তার ছাড়াও এই মামলার সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু (২৮), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), শাহজাহান মিয়া (২৮) এবং সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫)।
সাননিউজ/এমআর