নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে নিরপরাধ মিনু আক্তারকে তিন বছর জেল খাটানোর মামলায় নুরু কাওয়াল নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩১ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার নুরু চট্টগ্রাম নগরের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার হোতা কুলসুমা আক্তার ও মর্জিনা আক্তার নামে দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দু'দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
একটি হত্যাকাণ্ডে মূল আসামি কুলসুমার পরিবর্তে তিন বছর জেল খাটেন মিনু আক্তার নামে নিরপরাধ এক নারী। বিষয়টি আদালতে নজরে আনলে দুই বছর ৯ মাস ১০ দিন কারাভোগের পর গত ১৬ জুন মুক্তি পান তিনি। মুক্তির ১৩ দিন পর রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কবির আহমেদ জানান, হত্যা মামলার আসামি কুলসুমা সাজার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আদালতে তার যাবজ্জীবন সাজা দেয়ার খবর পান। পরে শাস্তি থেকে বাঁচতে তার সহযোগী মর্জিনা ও নুরু কাওয়ালের মাধ্যমে মিনু আক্তারকে আদালতে আত্মসমর্পণ করান তিনি। কুলসুমা ও মর্জিনাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হলে তারা নুরু কাওয়ালের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্যে নুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কীভাবে নিরপরাধ মিনু আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলেন- এসব বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এখনও সেটি জব্দ ও তার চালককে গ্রেফতার করা যায়নি। অটোরিকশার চালককে গ্রেফতার করা হলে দুর্ঘটনার আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় গ্রেফতার আসামিদের সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য এখনও পাইনি।
নিরপরাধ মিনু আক্তার কারাগারে থাকা অবস্থায় তার এক সন্তানকেও হারান।
সান নিউজ/এফএআর