নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা মোহন চন্দ্র দাস তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি এ বিষয়ে ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামি মোহনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁওয়ে একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী রানী দাস ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফুলবাসীর বোন বিশাখাবাসী রানী দাস বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মোহনের মেয়ে ঝুমা রানী দাস ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি বলেন, আসামি মোহন ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি কাজ পেয়ে হতাশায়ও ভুগছিলেন। সম্প্রতি আর্থিক টানাপোড়েনের জেরে স্ত্রী ফুলবাসীকে মারধরও করেছিলেন। কয়েক বছর আগে স্ত্রী ফুলবাসী নিজের কিছু স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা মোহনের কাছে তুলে দেন। মোহন সেই টাকা ধার দেন তার এক মামার কাছে। সেই মামা বিদেশে থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে মোহন কাজও পাচ্ছিলেন না। ঈদের আগেও একজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ঋণ নেন। এসব কিছু মিলিয়ে মোহন অশান্তিতে ছিলেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে কোন এক সময় ঘুমন্ত ফুলবাসীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন। রাত ৪টার দিকে ছোট মেয়ে সুমীকে একইভাবে হত্যা করেন। সুমীকে শ্বাসরোধের সময় ঘুম ভেঙে যায় পাশে শোয়া বড় বোন ঝুমার। ঝুমা ঘরে আলো জ্বালিয়ে দেখতে পায়, মোহন সুমীর মুখ পলিথিন দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। পরে পুলিশ ফুলবাসী ও সুমীর মরদেহ উদ্ধার করে।
সাননিউজ/এমআর