নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদীতে ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে খুনের সাথে জড়িত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। তাদের থেকে লুণ্ঠিত মালামাল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো- রায়পুরা উপজেলার বটতলী গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. শেখ ফরিদ (৩৫), একই উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাজা মিয়া (৩২), চর আড়ালিয়া গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৩) ও রাজনগর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মো. দুলাল মিয়া ।
পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৩ টার দিকে নরসিংদী মডেল থানার দক্ষিণ নাগরিয়া কান্দি এলাকার মোবারক হোসেনের বাড়ীতে হানা দেয় ডাকাত দল। তারা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে হাত পা বেধে ফেলে। এ সময় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন আরিফ বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে বাড়ির লোকজন আর্তচিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
পরে আশেপাশের লোকজন এসে আরিফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ডাকাত দল ২ ভরি ৬ আনা স্বর্ণালংকার ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৮ জুলাই নিহতের পিতা মোবারক হোসেন নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।
পরে জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মরিচা কান্দি এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত মো. শেখ ফরিদকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২৫ জুলাই উপজেলার হাইরমারা বাজার থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন আমিরগঞ্জ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিনের কাছ থেকে ডাকাতির ভাগের টাকা ও আমিরগঞ্জ বাজার একটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আল আমিনের দেওয়া তথ্য মতে উপজেলা রাজনগর গ্রামের দুলালকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন,সবাই ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
সাননিউজ/ জেআই