নিজস্ব প্রতিবেদক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাহাঙ্গীর গাজী নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েলসহ মোট আটটি দেশের মুদ্রাসহ আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টায় মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়। মুদ্রাগুলো পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়ে পুলিশ।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে সকাল সাড়ে ৬টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর একটা ফ্লাইট স্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী জাহাঙ্গীর গাজীকে সর্বশেষ চেকিং গেট আইনেস গেটে আটক করি। আটক করে তাকে প্রথমে চ্যালেঞ্জ করা হলে সে প্রথমে অস্বীকার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, প্রথমে তার শরীরে ৫০ হাজার রিয়েলের মতো পাওয়া যায়। যখন আমরা স্ক্যানিং করা শুরু করি, তখন আমরা তার কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েলসহ আটটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করি। যা তিনি পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। পরবর্তীতে আমরা তাকে আমাদের অফিসে নিয়ে আসি এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতে তাকে ভালভাবে চেক করা হয়। তল্লাশি করা শেষে তার কাছে সর্বমোট বাংলাদেশি টাকার আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা আমরা তার কাছ থেকে উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর গাজী ছিলেন একজন কাপড় ব্যবসায়ি। তার পাসপোর্ট চেক করে দেখা গেছে, গত দুই বছরে তিনি ১২৮ থেকে ১৩০ বারের মতো তিনি বিদেশে যাওয়া আসা করেছেন। এর মধ্যে তিনি দুবাই, আবুধাবি, টার্কিশ, ইজিপ্ট ও ব্যাংকক গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কমার্শিয়াল যাত্রী হিসেবে যাওয়া আসা করেন। লাগেজ সুবিধাটি নিয়ে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন।
এই টাকা গুলো নিয়ে তিনি বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা তাকে কাস্টমস কত্রিপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবো। কাস্টমস কত্রিপক্ষ বাদি হয়ে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করবেন। মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন।
সান নিউজ/এফএআর