চট্টগ্রাম ব্যুরো:
কোরবানিকে সামনে রেখে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গালকাটা জাহাঙ্গীর (২৫) ও তার ৫ সহযোগী। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সামনে থেকে তাদের তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাকি তিনজনকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গালকাটা জাহাঙ্গীর নগরীর শীর্ষ ছিনতাইকারী। কিন্তু তিনি চক্রের সদস্যদের দিয়ে কাজ করান। নিজে সশরীরে ছিনতাই তেমন করেন না। তিনি খুবই ধূর্ত।
পুলিশ দেখলেই ব্লেড দিয়ে নিজের জিহ্বায় পোঁচ দিয়ে রক্তাক্ত করেন যাতে তাকে আহত মনে করে পুলিশ না ধরে। পুলিশ দেখলেই জাহাঙ্গীর ব্লেড দিয়ে নিজের জিহ্বা কেটে ফেলেন বলে তাকে গালকাটা জাহাঙ্গীর নামে ডাকে সবাই। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মো. ইমন শরীফ প্রকাশ ইমন (১৯), তার বিরুদ্ধে ৫টি, মো. সাইফুল প্রকাশ সুমন (২৪), তার বিরুদ্ধে ২টি, মো. মনির (২১), তার বিরুদ্ধে ৫টি, মো. নজরুল আহমেদ সাগর (২০) তার বিরুদ্ধে ৪টি এবং সাইদুর রহমান ইবু (২২), তার বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের পাশে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কো¤পানি লিমিটেড অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ইমন, সুমন ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের প্রধান জাহাঙ্গীরসহ ২ জনকে। এ সময় জাহাঙ্গীর পুলিশ থেকে বাঁচতে ব্লেড দিয়ে তার জিহ্বা কেটে ফেলেন।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন কোরবানি উপলক্ষে তারা জড়ো হয়েছিলেন। গরুর বেপারি ও গরু ক্রেতাদের টার্গেট করেই তারা পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের গ্রুপে ৫ জন থাকলেও কোরবানি উপলক্ষে চাঁদপুর থেকে সুমনকেও দলে ভেড়ায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
সান নিউজ/আইকে