নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের এক এএসআই'র স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ আফরিন আক্তার মুন্নি (২৮) নামে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ওই নারীর স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম রবিন। তিনি এএসআই হিসেবে আদবর থানায় কর্মরত আছেন।
পুলিশ বলছে, আফরিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে আফরিনের পরিবার দাবি করছে, তাকে মেরে আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছেন নজরুল। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
আদাবর থানা পুলিশ জানায়, এএসআই নজরুল থানার অদূরে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে থাকেন। পারিবারিক কলহের কারণে সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাসার একটি কক্ষে স্ত্রী আফরিন গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
আফরিনের চাচা মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নজরুলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইল ফোনে আফরিন তা দেখে ফেলায় নজরুল তার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত দুই বছর ধরে এসব নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুল প্রায়শই আফরিনকে মারধর করতো। গত রবিবারও নজরুল বেধড়ক পিটিয়ে আফরিনকে বাসা থেকে বের করে দেয়। পুলিশ কর্মকর্তা বলে তার কিছুই হবে না বলেও হুমকি দেয়। সোমবারও তাকে মেরে পরে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
আফরিনের চাচার দাবি, ঘটনার পর আদাবর থানা পুলিশও বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করে। নজরুলের সহকর্মীরা বিষয়টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অবশ্য আদাবর থানার ওসি কাজী শাহেদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে এএসআই নজরুলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সান নিউজ/সালি