নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভারাসের মহামারির মধ্যে মাদকসেবন বেড়েছে। সাথে সাথে বেড়েছে অপরাধ। এই এক বছরে ৮৫ হাজার ৭১৮টি মাদক মামলায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ, র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, আফিম, গাঁজা, অ্যামফিটামিন, আইস ও ‘খাট’-এরপর এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে ভয়ংকর মাদক এলএসডি। কারবারিরা নানা অপকৌশলে দেশে ঢুকাচ্ছে এসব।
আজ শনিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। জাতিসংঘঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্য, ‘মাদক বিষয়ে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম, বাঁচাই জীবন’।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় করোনা সংক্রমণের বছর ২০২০ সালে সারাদেশে বেশি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৭টি ইয়াবা বড়ি, ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ হাজার ৭৮ কেজি গাঁজা, প্রায় ৭২ কেজি আফিম এবং প্রায় ৪ কেজি কোকেন উদ্ধার করে। এসব ঘটনায় হওয়া ৮৫ হাজার ৭১৮টি মামলায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা বড়ি, ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৩ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ হাজার ৭৮ কেজি গাঁজা, ৩২৩ কেজি হেরোইন, ১ কেজি আফিম ও ১ কেজি কোকেন উদ্ধার করে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসেই সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৭৯৫টি ইয়াবা বড়ি, ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ হাজার ৮৬৮ কেজি গাঁজা, ১২৯ কেজি হেরোইন, ৫৩ কেজি আফিম ও আধা কেজি কোকেন উদ্ধার করে। এ সব ঘটনায় হওয়া ৩০ হাজার ৫৮৮টি মামলায় ৩৯ হাজার ৭৭৪ জনকে আসামি করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেন, করোনার মধ্যেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই মাদক উদ্ধার ও মামলা হচ্ছে। আর লকডাউনের সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কারবারিরা ফাঁকফোকর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িতে লাশের পাশে মাদক নিয়ে আসছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও সেখান থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢোকা বন্ধ হচ্ছে না।
সাননিউজ/এফএআর