নিজস্ব প্রতিবেদক: গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে একাধিক নারী সঙ্গী রাখতেন।
ওই কর্মকর্তারা বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর ঢাকার উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরে অমির বাসায় দুই নারী লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তারকে (১৯) সঙ্গে নিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিলেন নাসির।
তারা আরও বলেন, সেখানে অমির সঙ্গে তার বর্তমান গার্লফ্রেন্ড নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪) অবস্থান করছিলেন। নাসির উদ্দিন তার অপকর্মের সহযোগী অমির বাসায় অবস্থান নিয়ে তিনদিন ধরে আমোদ-বিনোদন অব্যাহত রেখেছিলেন।
পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০) ও অমিসহ (৩০) তাদের তিন নারী সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের (উত্তরা) যুগ্ম-কমিশনার মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নাসির বিনোদনের জন্য অর্থের বিনিময়ে নারী সঙ্গী রাখতেন। নাসিরের বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ করে তবে আমরা সেগুলোর তদন্ত করবো।